সিলেট, ২৫ এপ্রিল : বাংলাদেশ-চীন চা বাণিজ্য ও সহযোগিতা উন্নয়ন” প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে আগামী ২০ মে সিলেটের শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (শাবিপ্রবি) অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে বাংলাদেশ-চায়না টি সামিট ২০২৫। বিশ্ববিদ্যালয়ের পলিটিক্যাল স্টাডিজ বিভাগের অধীনস্থ চাইনিজ কর্নার ও ঢাকাস্থ চীনা দূতাবাসের যৌথ উদ্যোগে আয়োজিত এই সামিটে বাংলাদেশ ও চীনের মধ্যে চা বাণিজ্য ও সহযোগিতা জোরদারের লক্ষ্যে নানা পরিকল্পনা উপস্থাপন করা হবে।
এই সামিটের আয়োজন সম্পর্কে নিশ্চিত করেছেন চাইনিজ কর্নারের সমন্বয়ক ও শাবিপ্রবির পলিটিক্যাল স্টাডিজ বিভাগের অধ্যাপক ড. মোঃ সাহাবুল হক। তিনি জানান, এই সামিট স্থানীয় ও আন্তর্জাতিক পর্যায়ে চা বাণিজ্যে নতুন দিগন্ত উন্মোচন করবে। এতে ব্যবসায়ী থেকে ব্যবসায়ী নেটওয়ার্ক গড়ে তোলা, আমদানি-রপ্তানি প্রক্রিয়া সহজীকরণ, প্রযুক্তির ব্যবহার, বাজার সম্প্রসারণ কৌশল এবং সরকারি নীতিমালার সুবিধা ও চ্যালেঞ্জ নিয়ে আলোচনা করা হবে।
তিনি আরও উল্লেখ করেন, সিলেট, মৌলভীবাজার ও হবিগঞ্জে দেড় শতাধিক চা বাগান রয়েছে। এই সামিটের মাধ্যমে এসব অঞ্চলের চা ব্যবসায়ীদের সঙ্গে চীনের চা শিল্পের প্রতিনিধিদের মধ্যে সরাসরি যোগাযোগ স্থাপিত হবে, যা বাংলাদেশি চা রপ্তানিকারক, বাগান মালিক ও উদ্যোক্তাদের জন্য একটি বড় সুযোগ সৃষ্টি করবে।
সামিট আয়োজন কমিটির সূত্রে জানা গেছে, শাবিপ্রবির নিউ সোশ্যাল সায়েন্স বিল্ডিংয়ে অনুষ্ঠেয় এই ইভেন্টে চীন থেকে ১২ জন চা ব্যবসায়ী ও উদ্যোক্তা অংশ নেবেন। এছাড়া সিলেটের স্থানীয় ও আন্তর্জাতিক পর্যায়ের প্রতিনিধিরাও উপস্থিত থাকবেন। অংশগ্রহণকারীদের জন্য থাকবে স্টল প্রদর্শনী, বিভিন্ন প্রকার চা পর্ব ও নেটওয়ার্কিংয়ের সুযোগ। প্রতিটি স্টলে দুটি টেবিল, তিনটি চেয়ার, বৈদ্যুতিক সংযোগ, লাইটিং ও স্ট্যান্ড ফ্যানসহ প্রয়োজনীয় সুবিধা দেওয়া হবে।
সামিটে অংশগ্রহণের জন্য রেজিস্ট্রেশন ফি নির্ধারণ করা হয়েছে ২,০০০ টাকা। আগ্রহীরাদের ৫ মে ২০২৫-এর মধ্যে রেজিস্ট্রেশন সম্পন্ন করতে হবে। অংশগ্রহণকারীদের জন্য আকর্ষণীয় গিফট ব্যাগ ও লাঞ্চ প্যাকের ব্যবস্থা থাকবে। রেজিস্ট্রেশন ও অন্যান্য তথ্যের জন্য মি. বোরহান-এর সঙ্গে যোগাযোগের অনুরোধ জানানো হয়েছে। যোগাযোগ নম্বর: ০১৮৭৬-৯৩৭৫৬৬, ইমেইল: [email protected]।
অধ্যাপক ড. মোঃ সাহাবুল হক বাংলাদেশের সকল চা বাগান মালিক, উদ্যোক্তা ও রপ্তানিকারকদের এই সামিটে অংশগ্রহণের আমন্ত্রণ জানিয়ে বলেন, “এটি শুধু একটি প্রদর্শনী নয়, বরং একটি বৃহৎ সম্ভাবনার মঞ্চ। যেখানে দেশীয় চা শিল্প আন্তর্জাতিক বাণিজ্যের সঙ্গে সংযুক্ত হওয়ার সুযোগ পাবে। এই সামিট চা শিল্পের অগ্রযাত্রায় একটি গুরুত্বপূর্ণ মাইলফলক হয়ে উঠবে।”
নিউজটি আপডেট করেছেন : Suprobhat Michigan